Translation of the Bengali philosophy “DRISHTANTOBAD is “DRISHTANTOISM”
বাঙলা কবিতা এবং দৃষ্টান্তবাদ
প্রথম পর্ব : অস্পৃশ্য-অদৃশ্য অতীন্দ্রিয় উপাদান
কবিতা প্রলাপ নয়, যদিও প্রলাপ আর কবিতা অভিন্ন অনেকের কাছে। এটি অস্পষ্ট-অন্ধকার কিছু নয়, কেউ-কেউ ZvB—`vwe করেন, বলেন : এটি রাহস্যিক-ঐন্দ্রজালিক। কবিতা সবসময় দীপ্তিময়, এর ধ্রুব কোনো সংজ্ঞা এখানে হাজির করছি না; কারণ, সংজ্ঞায়িত করা মানে গণ্ডিবদ্ধ করা। কবিতাকে সর্বঊর্ধ্বে ভাবি। যুগক্রমে অনেকেই এর সংজ্ঞা দিয়েছেন। যেগুলোর কিছু সম্ভাব্যভাবে যৌক্তিক আবার অনেকগুলো পড়ে সংজ্ঞাকারীকে প্রকাণ্ড গর্দভ মনে হয়েছে। কবিতা এমন, যা অনায়াসে অনেকেই মৌলিক-অর্থে বুঝে ওঠেন না; অর্থাৎ এতে কবির অভিপ্রায় পূর্ণঅর্থে বোঝা দূরহ, আপাতদৃষ্টিতে। KweZv—†gav-gb-gb‡bi, শৈল্পিক-ভাষিক উৎসারণ। উৎকৃষ্টতম শব্দের প্রকৃষ্টতম বিন্যাস ব’লে, একটি কবিতার উপজীব্য বিষয়, মূল ধারণা, গূঢ় A_©— তিন-চতুর্থাংশ আবিষ্কার করা একজন বিচক্ষণের পক্ষে সম্ভব, বাকিটা প্রায় ক্ষানিকটা অস্ফুষ্ট থেকে যেতে পারে। মানে এ-নয়, এটি রহস্যময়; এর অস্পষ্ট-অংশও উদ্ঘাটনযোগ্য। একটি কবিতার, প্রথম পাঠে যে বোধ পাই, পরবর্তিতে ভিন্ন বোধের উদ্ধার ঘটে; অর্থাৎ, এর ¯^i~c অনির্দিষ্ট। আবার, একেকজন একই সাথে একই কবিতায় একেক বোধ/ব্যাখ্যা পায়। একটি কবিতা একার্থবহ নয় সবার কাছে; কারণ, কবিতা থাকে পাঠকের বোধে/মনে। কিন্তু 'রহস্যময়' বিষয় উদ্ভাবনের সম্ভাবনা ক্ষীণ, বেশিভাগের কাছেই তা একার্থক। কবিতায় অব্যাখ্যাত ইঙ্গিত থাকায় হয়তো এমনটা। ব্যাখ্যা গদ্যের দাবি, এখানেই কবিতার সাথে এর তফাৎ। সংজ্ঞার ভিন্নতাকে পুঁজি করে কবিতাকে রহস্যময় বানানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই; আবার, সংজ্ঞায়িত করার বাধ্যবাধকতাও দেখছি না।
ঢেউ (অষ্টম সংখ্যা, বৈশাখ ১৪১৬/মে ২০০৯)-এ সবুজ তাপস’র মাধ্যমে ‘দৃষ্টান্তবাদ’ (দৃষ্টান্তোবাদ : DRISHTANTOISM) দৃষ্টিগ্রাহ্য হলো। কাগজটিতে, এ-বিষয়ে আছে একটি পর্ব/অধ্যায়; আরেকটি পর্বের আটআনা অংশ মহীন রীয়াদ সম্পাদিত শঙ্খবাস (প্রথম বর্ষ। প্রথম সংখ্যা; শ্রাবণ ১৪১৬/অগাস্ট ২০০৯)-এ রয়েছে। এ-বিষয়ে তিনি এ-পর্যন্ত প্রারম্ভিক ধারণা দিয়েছেন, দৃষ্টান্তবাদী কবিতার স্বরূপ স্পষ্ট করতে চেষ্টা করেছেন।
G-M‡`¨— দৃষ্টান্তবাদী (Drishtantoistic) দৃষ্টিকোণ †_‡K— বাঙলা কবিতা, অস্পৃশ্য-অদৃশ্য অতীন্দ্রিয় উপাদানের ব্যবহারে এবং রহস্যীকরণপ্রবণতার আধিক্যের গুণে কীভাবে হারিয়েছে ¯^”QZv, হয়েছে শিল্পশূন্য, অসার এবং উদাহরণ হ’য়ে উঠেছে অপকবিতা (অনেকের বোধে হয়তো KweZv)— তার ব্যাখ্যা হাজির করতে চেষ্টা করবো।
অজস্র কবিতা লেখার এ-দেশে কবিতা লেখার ব্যর্থ চেষ্টা করছি, দণ্ডিত হচ্ছি, অপরাধ করছি প্রতিনিয়ত, কাতর হচ্ছি অপরাধবোধে। বাঙলা কবিতার এমন-অবস্থা, যাদের কবিতা না লিখে মাছ চাষ করা শ্রেয় ছিলো তারাও কবিতা রচতে এসেছেন। কেউ-কেউ ভাবছেন তাদের কোন গুণ না থাকলেও আছে কবিতা লেখার (আধ্যাত্মিক) গুণ; আমি ভাবি, কবিতা সৃষ্টি করতে cviv— গুণ নয়, বোধ-মনন। এখানে, সক্রিয় কবিতাকর্মিসংখ্যা সহস্রাধিক অথচ বিশুদ্ধ কবি হাতেগোনা। ব্যাপারটা মৎসডিম্ব cÖK…wZ— যেনো, একশজন থেকে নিরানব্বইজন ঝরে না গেলে একজন প্রকৃত কবি তৈরি হ’য়ে ওঠে না, একজন কবির জন্যে প্রয়োজন পড়ছে সহস্রাধিক কবিতাকর্মির। বাঙলা কবিতা পিছিয়ে পড়ার উৎকৃষ্ট কারণ এটি।
দৃষ্টান্তবাদ সম্পর্কে সবুজ তাপস বলেছেন, এ-দর্শন "অস্পৃশ্য-অদৃশ্য বিষয়ের নয়, বাস্তব বিষয়ের অবতারণা করে মুন্সিয়ানা দেখানোর পক্ষপাতী।[1]" এবং ঈশ্বর'র মতোন অস্পৃশ্য-অদৃশ্য অতীন্দ্রিয় সত্তা সম্পর্কে, "'ঈশ্বর আছেন' এবং 'ঈশ্বর নেই'— এ-দুই প্রত্যয়ের কোন্টি বাস্তব সত্য তা চিরকালই অনির্দিষ্ট থাকবে; শুধু এই নিয়ে পরধর্মচর্চায় কেউ-কেউ আস্তিক হবে, কেউ-কেউ নাস্তিক। দৃষ্টান্তবাদ আস্তিক্যবাদী নয়, আবার নাস্তিক্যবাদী দর্শনও নয়।[1]" এ-দুটো বক্তব্য সামনে রেখেই মূলত আমার অভিযাত্রা।
বাঙলা কবিতায় বিশাল-অংশে ঢুকে গেছে বিশ্বাস (Belief); যা অবাস্তব, সন্দেহাত্মক, অনুমানলব্ধ। "অনুমান (Inference) প্রমাণ নয়", অনুমানাশ্রিত শব্দও তাই যথার্থ (Source of knowledge) হ'তে পারে না। যা সন্দিগ্ধ, অদৃশ্যমান-দৃষ্টান্তহীন তা বিশ্বাস করতে হয়, জিইয়ে রাখতে হয়; যা অসন্দিগ্ধ, প্রামাণ্য তার পক্ষে বিশ্বাসের প্রশ্ন অবান্তর, তা বাস্তব [যা ইন্দ্রিয় মারফতে যৌক্তিকভাবে অনুধাব্য, প্রত্যক্ষ (Perceptible)| কিন্তু, ইন্দ্রিয়ের অনুধাবনের ওপরই সবকিছু সীমাবদ্ধ? —Avwg যেহেতু, অলৌকিকতা ও প্রথাগত অন্ধবিশ্বাসরহিত বিজ্ঞানের উৎকর্ষ মানি তাই আমার কাছে যা কিছুর অস্তিত্ব যৌক্তিকভাবে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য তা বাস্তব (Real/Material)| ভবিষ্যতে অই উৎকর্ষের ফল (যুক্তিযুক্ত-প্রমাণিত) যা দাঁড়াবে, আমলে নেব।]। আমার কাছে এখনো কেউ জানতে চান নি, ‘গরু’ বিশ্বাস করি কিনা, জানতে চেয়েছেন ‘ভূত’ কিংবা ‘ঈশ্বর’ অথবা ‘ঈশ্বরে’ বিশ্বাস করি কিনা। গরু, বিশ্বাস্য বিষয় নয়, দৃশ্যমান-দৃষ্টান্তযুক্ত, ¯^-Aw¯—Z¡ প্রকাশে অন্যের প্রয়োজন দাবি করে না। গরু নিয়ে রচনা লেখা যেতে পারে তবে এ-নিয়ে ধর্মীয় কিতাব ছাপানো অযৌক্তিক। গরু দৃষ্টান্তবাদ-সমর্থিত। (যিনি বা) যা কিছু দৃষ্টান্তশূন্য-অস্তিত্বশূন্য তা দৃষ্টান্তবাদ-এ অপ্রাসঙ্গিক[1] (Irrelevant)| উপরে, ‘ঈশ্বর’র দৃষ্টান্তবাদী ব্যাখ্যা তাপস যা দিয়েছেন, তাতে একে (ঈশ্বরকে) দৃষ্টান্তবাদ-এ অপ্রাসঙ্গিক[1] বলছি। বাঙলা ভাষায় ‘বিশ্বাস’ e¨vL¨vZ—AwbðqZv অর্থে; অথচ, কতিপয় কু-মতলবিরা ¯^mv‡_© সম্পূর্ণ উল্টো ব্যাখ্যা প্রচার করে প্রতারিত করছেন অনেককেই। ব্যাপারটা গাধার সামনে মূলো ধরার মতো। বাঙলা কবিতায় কবিরা (নিরানব্বই ভাগ কবিয়াল) নিজ পরিবার থেকে অবভাসিত প্রথাগত বিশ্বাস, অপধ্যানধারণা ঢুকিয়েছেন এবং ঢুকোচ্ছেন 'যেমন খুশি তেমন লেখ' পদ্ধতিতে। তা কতোটা যুক্তি-ভিত্তিহীন AcÖ‡qvRbxq— পরখ করেন নি, হয়তো তারা অক্ষম ছিলেন। এরা মৌলিকত্বশূন্য শোচনীয়রূপে, এদের মূল হাতিয়ার যুক্তিরহিত আবেগ (Illogical Emotions)| এ সস্তা আবেগ ফেলে দিলে বাঙলা কবিতার হাজারবছরের মহাপ্রাচীর ভেঙে পড়বে। বিশ্বাসাশ্রিত কাব্যকাঠামো শক্তিশালী হ’তে পারে না, ওগুলো ভ্রমপূর্ণ; এ-জাতীয় বিশ্বাসাবেগাক্রান্ত কবিতা দৃষ্টান্তবাদী দৃষ্টিতে অপ্রয়োজনীয় এবং দুষ্ট, প্রকৃষ্ট শিল্পকলার উদাহরণ হ’তে পারে না। এখানকার অধিকাংশ পাঠক কবিতায় শিল্পকলা উপভোগের নামে ভোগ করেন প্রথাগত নষ্ট-আবেগ। কবিদের সামপ্র্রদায়িক মানসিকতার ফলেই এ-দশা। অসামপ্রদায়িক মানসিকতা যতোদিন তৈরি না হবে, ততোদিন বাঙলা কবিতা অন্ধকারে ভ’রে থাকবে। `„óvš—ev`—wek¦vm নয়, দৃষ্টান্তের ওপর নির্মিত কাব্যদর্শন (Poetry based philosophy/PBP)| এ-মতে : কবিতায় যতোটুকু বিশ্বাস, অস্পৃশ্য-অদৃশ্য অতীন্দ্রিয় উপাদান, যুক্তিরহিত আবেগ এবং অপ-পঙ্ক্তি/ভাব/বোধ/উদ্দেশ্যর .. মিশ্রণ, ততোটুকু অপকবিতাত্ব[1]। এ-অপকবিতাংশের জন্যে বাকিটুকু দৃষ্টান্তবাদ-সমর্থিত হওয়া সত্ত্বেও সর্বাঙ্গীনভাবে অপকবিতার উদাহরণ হ’য়ে দাঁড়ায়।
‘সবক’টি গাছ গ’লে গেছে মোমবাতির মতো।’
পঙ্ক্তিটি দৃষ্টান্তবাদ সমর্থন করে, এতে বিশ্বসিত কিছু নেই। এখানে ‘গাছ’ এবং ‘মোমবাতি’ নাম (Noun) এবং "গ’লে যাওয়া" ক্রিয়া (Verb) wPΗ`„k¨gvb (Visible), এবং পঙ্ক্তিটির সম্ভাবনা (Probability) বিদ্যমান। ব্যবহৃত শব্দগুলো দৃষ্টান্তযুক্ত, ত্বগিন্দ্রিয়গ্রাহ্য-অনুভবযোগ্য। কবির ঐন্দ্রিয়ক কল্পনায় MvQ—†gvgevwZi মতো গ’লে যেতে পারে, যেহেতু কল্পনা (Imagination) সীমাবদ্ধ নয়। ‘গাছ’ এবং ‘†gvgevwZ’— এ-দুটো দৃশ্যমান বস্তুকে আরেকটি দৃশ্যমান ক্রিয়া "গ’লে যাওয়া"-এর সংস্পর্শে এনে কবি এ-যৌক্তিক পঙ্ক্তিটি (Logical Verse/LV) কল্পনা করতেই পারেন। অর্থাৎ এখানে, দৃশ্যমান বস্তুর সংস্পর্শে যৌক্তিক দৃশ্যমান পরিস্থিতি (Logical Visible Situation/LVS) সৃষ্টি হয়েছে। যা কিছু বাস্তব-দৃশ্যমান-অনুধাব্য-প্রমাণিত তা যৌক্তিকার্থপূর্ণ এবং এ-জাতীয় শব্দসহযোগে নির্মিত তাৎপর্যপূর্ণ পঙ্ক্তি/বাক্য দৃষ্টান্তবাদ-সমর্থিত[২]।
"বাবা ছিলেন অনেকটা আল্লার মতো, তার জ্যোতি দেখলে আমরা সেজদা দিতাম"
পঙ্ক্তিটি দুষ্ট। "আমাদের মা" (কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু ; ১৯৯৮) কবিতায় হুমায়ুন আজাদ, বাবা’র সাথে (মা-সন্তানদের) একধরনের দূরহসম্পর্কাচরণ তৈরিতে ‘আল্লা’ শব্দটি বসিয়েছেন। এটি কেনো ভ্রমপূর্ণ (দৃষ্টান্তবাদী দৃষ্টিতে), আগেই লিখেছি। এ-ধরনের অতীন্দ্রিয় সত্তার অতি প্রয়োগ লক্ষ করি তার পেরোনোর কিছু নেই (২০০৪) কাব্যে। পঙ্ক্তিটি ¯^we‡ivwaZvc~Y© (প্রথাগত) এবং দৃষ্টান্তবাদ-অসমর্থিত।
"কাব্যশক্তি মহাশক্তি, বিধাতার দান,
নরলোকে তিনি ধন্য, যিনি তাহা পান।
...
কাব্য ব্রক্ষ্মা, কাব্য বিষ্ণু, কাব্য মহেশ্বর;
কাব্য আল্লাহ, রসুলুল্লাহ, কাব্যই ঈশ্বর।"
(নির্মলেন্দু গুণ। কাব্যকথা। পথে পথে পাথর ; ২০০৭)
গুণ’র ধারণা কাব্য এমন এক শক্তি যা অবান্তর বিধাতার কাছ থেকে তিনি পেয়েছেন, পেয়ে ধন্য হয়েছেন আর কাব্যকে মিলিয়েছেন ব্রক্ষ্মা-বিষ্ণু-আল্লাহ-ঈশ্বর এর মতো অস্তিত্বহীন (‘অদৃশ্য’ অর্থে) বিষয়ের সাথে। তার অনেক কবিতা হিন্দু সামপ্রদায়িক মানসিকতা আশ্রিত। গুণ’র প্রধান গুণই এটা; আরেকটা হলো তোষামোদ করা। এসব কবিতা দৃষ্টান্তবাদ-অসমর্থিত, বিভিন্ন অর্থহীন শব্দের কারণেই। এ-হচ্ছে আমাদের বর্তমান (অত্যাধুনিক) কবিদের ¯^i~c| তারা এখনো চেতনে-অচেতনে আলৌকিকতা, ভ্রমসঙ্কুলতা, সামপ্রদায়িকতা লালন করছেন। এ-জন্যেই হয়তো, সৈয়দ শামসুল হক-কেও ‘আত্মা’র মতো আযৌক্তিক-অবান্তর ধারণা নিয়ে কবিতা করতে হয়েছে। এ-করে তারা কবিতাকে মুক্তি দিচ্ছেন কতোটুকু?
"কতো দূরে বেড়াতে গেলুম, আর একটু দূরেই ছিলো ¯^M©"
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, "¯^‡M©i কাছে" (দাঁড়াও সুন্দর ; ১৩৮২ বাঙলা)-কবিতায় অনেক দূরে বেড়াতে বেড়াতে ¯^‡M©i কাছাকাছি গিয়ে ¯^M©-wgbvi দেখে এসেছেন, সময়সল্পতার জন্যে ¯^M©v‡ivnb করতে পারেন নি! তিনিই বোধ হয় প্রথম জানালেন, ¯^‡M© যাওয়া যায় রেলপথে; অর্থাৎ, অইটি মর্ত্যে (বলছি bv— ওটিকে শূন্যেই হ’তে হবে, ¯^M©-biK ওসব অবান্তর ধারণা, কুমতলবিদের বানানো; বলতে চেয়েছি প্রচারিত ধারণার কথা।), যেখান থেকে ঘ্রাণ পেয়েছেন পারিজাতের। তবে এখানে, Aevš—i-¯^M©`„k¨Kí বাদ দিয়ে ভ্রান্তি তৈরি না করলেও পারতেন। কবিতায় এইসবের ব্যাবহারাধিক্যে বোধ হয়, তার ঈশ্বর/ঈশ্বরে বিশ্বাস না থাকলেও বিশ্বাস থেকে গেছে প্রথাগত কতিপয় অতীন্দ্রিয় ধারণায়। নিজেকে অবিশ্বাসী দাবি করলেও তিনি, আমার ধারণা, অলৌকিকতা-পারলৌকিকতা ছাড়িয়ে যেতে পারেন wb—
"প্রতিটি ট্রেনের সঙ্গে আমার চতুর্থভাগ আত্মা ছুটে যায়
প্রতিটি আত্মার সঙ্গে আমার নিজস্ব ট্রেন অসময় নিয়ে
খেলা করে।"
(সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। আত্মা। বন্দী জেগে আছো ; ১৩৭৫)
তার আত্মা ট্রেনের সাথে ছুটোছুটি করে, খেলা করে। এ-সুনীল’র বিশ্বাসাবিশ্বাস, ¯^we‡ivax প্রকারের। আত্মাবাদী হয়ে ঈশ্বর’র অস্তিত্বে সংশয় প্রকাশ করে তিনি কী বুঝাচ্ছেন? দৃষ্টান্তবাদ, AvZ¥vev`x-mskqev`x—†Kv‡bvwUB নয়। এ-দর্শন আত্মার নয় মনের অস্তিত্বে আস্থাশীল দর্শন[৩]।
"প্রভু, শোনো, এই অধমকে যদি ধরাধামে পাঠালেই,
তবে কেন হায় করলে না তুমি তোতাপাখি আমাকেই ?"
(শামসুর রাহমান। প্রভুকে। বিদ্ধস্ত নীলিমা ; ১৯৬৫)
‘নিজস্ব কথা বলবার গুরুভার’ থেকে মুক্তি লাভের আকাঙক্ষায় রাহমান, এ-আশ্বাদিপ্রেরণপঙ্ক্তি লিখেছেন ‘প্রভু’ নামক অস্পৃশ্য-অদৃশ্য সত্তার Kv‡Q— কেনো তাকে তোতাপাখি করে ধরাধামে পাঠানো হয় নি? যেনো তাকে ধরাধামে কোনো অলৌকিকতা থেকে পাঠানো হয়েছে, অবদান অই কাল্পনিক সত্তার, তবে প্রভু তাকে তোতাপাখি (কথা বলতে অক্ষম) করে পাঠালে কথা বলার গুঢ়দায়িত্বাভার থেকে বেঁচে যেতেন। তিনি হয়তো এ-ব্যাপারে ভীতসন্ত্রস্ত। প্রথম পঙ্ক্তিটি ভ্রমাত্মক, ফলে কবিতাটিও। তিনি এখানে, প্রথাগত বিশ্বাস রচেছেন।
বিশ্বাস একসময় গ’লে যায়, নষ্ট হয় মাংসের মতো। অবিশ্বাস (Unbelief) চিত্ররূপময়, ভেঙে পড়ে না, নশ্বর। বিশ্বাসগ্রস্ত কবিতা, কবিতা নয়। দৃষ্টান্তবাদী KweZv— শব্দ (Word) বাক্য (Sentence) পঙ্ক্তি (Verse) দৃশ্য/চিত্রকল্প (Visible Object) ভাব (Condition) কল্পনা (Imagination) উদ্দেশ্য (Goal) ..-এর যৌক্তিকরূপ[২]। যৌক্তিকতা তোয়াক্কা না করে বিশ্বাসের আশ্রয়ে বাঙলা সাহিত্যে যে-কবিতা তৈরি হয়েছে/হচ্ছে/হবে, তা দৃষ্টান্তবাদী স্কেলে গ্রহণযোগ্য নয়। কালের পর কাল এখানকার কবিরা বিশ্বাসাশ্রয়ী কবিতাই চর্চা করেছেন।
বাঙলা কবিতায় বিশ্বাসবিকিরণের কাজ করেছেন A‡b‡K— বাল্মীকী, বড়ু চন্ডীদাস, শাহ মুহম্মদ সগীর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, গোলাম মোস্তফা, কাজী নজরুল ইসলাম, ফররুখ আহমদ (..)। বেশি করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি কবিতাকে সবচেয়ে বেশি ধোঁয়াটে-ঐন্দ্রজালিক K‡i‡Qb— এ-করে ক্ষতি করেছেন অনেকখানি। দৃষ্টান্তবাদী দৃষ্টিতে, ইতোপূর্বের অনেক শক্তিসম্পদশালী কবি কবিতাকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি ক্ষতি সাধনও করেছেন। রবীন্দ্রনাথ, বাঙলা কবিতাঙ্গন যেমন করছেন ঋদ্ধ, তেমনি করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন। তার অসামান্য কবিতার পাশাপাশি সামান্য কবিতাও আছে। লিখেছেন, অযৌক্তিক অদৃশ্য অপভাববহনকারি পঙ্ক্তি (Illogical Invisible Badconditioned Verse/IIBV), এর ফলে হাতিয়েছেন নোবেল। তবে, অধিকাংশ কবিতায় অবাস্তব দৃশ্যকল্পের প্রাচুর্য থাকলেও তার নোবেল সনদ-মেডেল দৃশ্যমান-বাস্তব, দৃষ্টান্তবাদ-সমর্থিত; অপকবিতাগুলো নয়। কাজী নজরুল ইসলাম, বাঙলা ভাষার প্রধান বিভ্রান্ত কুসংস্কারদীপ্ত লেখক, প্রথাগত চিত্রকল্পাশ্রয়ে ধর্মীয় উদ্দেশ্যে পঙ্ক্তির পর পঙ্ক্তি কম লিখেন নি। অনেকটা জঙ্গি মানসিকতা নিয়ে কবিতাকে কর্কশ-বারুদময় করে জর্দারকোটা বানিয়ে পথে-ঘাটে-মাঠে নামানোর কাজ করেছেন তিনি (তার কবিতা স্লোগানধর্মী; অইরকম না হলেই ভালো। এটি মিছিলের অস্ত্র নয়, ধর্মীয় পুথিও নয়। কবিতার বিষয় হ’তে পারে me—gvbwQ, তবে ‘সব’ নিয়ে ‘কবিতা’ করার কী দরকার?)। সুকান্তও কম করেন নি। নজরুল হলেন মুসলমানদের রবীন্দ্রনাথ, বাঙালি-মুসলমানের ওপর চেপে আছেন বোঝার মতো। wj‡L‡Qb—
# "আল্লাহ আমার প্রভু, আমার নাহি নাহি ভয়/ আমার নবী মোহাম্মদ, যাঁহার তারিফ জগৎময়।"
# "নামাজ পড়, রোজা রাখো, কলমা পড় ভাই।/ তোর আখেরের কাজ করে নে, সময় যে আর নাই"
# "মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই,/ যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই"
এখানে নজরুল বিদ্রোহী নন, একজন ইসলামান্ধ। আরও wj‡L‡Qb—
# "কালী কালী মন্ত্র জপি বসে লোকের ঘোর শ্মশানে"
# "তোর রাঙা পায়ে নে মা শ্যামা আমার প্রথম পূজার ফুল"
# "বল্ রে জবা বল্!/ কোন্ সাধনায় পেলি শ্যামা মায়ের চরণতল"
এখানে তিনি ইসলামান্ধ নন, কালীভক্ত। আমি বিভ্রান্ত হই : একইসাথে একজন ইসলামান্ধ হয়ে হামদ-নাত রচেন, আবার কীভাবে কালী-কালী মন্ত্র জপেন! লোকের ধারণা : তিনি দু’টোর মিলন ঘটিয়েছেন; তিনি সাম্যবাদী? অই গানগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো তখন, অর্থ এনে দিয়েছিলো; এ-জন্যেই হয়তো সচেতন ছিলেন না তিনি, নষ্ট করেছেন প্রতিভা, হ’য়ে উঠেছেন পুঁথিসাহিত্যিক। প্রতিক্রিয়াশীল বিশেষ এক সমপ্রদায়/ধর্মীয়গোষ্ঠীও তাকে নষ্ট করেছে অনেক। কী বিশ্বাসী/অনুসারী ছিলেন তিনি, বোঝা যায় না। পঙ্ক্তিগুলো হয়তো অসচেতনতা, মূর্খতারই dmj— তিনি বিশুদ্ধ মননশীল ছিলেন না, তাই লিখতে †c‡i‡Qb—
"নারী নাহি হতে চায় শুধু একা কারো,/ এরা দেবী, এরা লোভী, যত পূজা পায় এরা চায় তত আরো।/ ইহাদের অতিলোভী মন/ একজনে তৃপ্ত নয়, এক পেয়ে সুখী নয়,/ যাচে বহু জন।"
(কাজী নজরুল ইসলাম। পূজারিণী। দোলন-চাঁপা ; ১৯২৩)
পঙ্ক্তিগুলো পুরুষতন্ত্রের পক্ষপাতি, নারীদের বিপক্ষপাতি। হয়তো বাহ্যিক সদিচ্ছাসত্ত্বেও, তিনি ছিলেন পুরুষতন্ত্রের প্রতিনিধি। তিনি নারীদের সম্পর্কে সম্পূর্ণ হাস্যকর ধারণা লালন করতেন, বোঝা যাচ্ছে। সমস্ত নারীদের, ভয়ংকর দানবী রূপে দেখিয়েছেন যেনো এরা হিংস্র কোনো ক্ষুধার্ত প্রাণী। অথচ, নিজেই কবিতার পাশাপাশি দূষিত করেছেন বাঙলার বিভিন্নাঞ্চলের নারীদের। সম্পূর্ণ অপঅর্থবহনকৃত অবিশুদ্ধ পঙ্ক্তিগুলোর উদ্দেশ্য ভিত্তিহীন, সস্তা আবেগের প্রায়াস। প্রকৃত মননশীল কবি কখনো এইধরনের পঙ্ক্তি রচনায় প্রলুব্ধ হন না। অপশিক্ষা এবং ধর্মীয়-প্রতিক্রিয়াশীলতার কারণে, বাজেপঙ্ক্তি রচতে উৎসাহিত ছিলেন তিনি। কবিকে অবশ্যই হ’তে হবে শিক্ষিত-বিচক্ষণ-মননশীল; কবি মাজারের খাদেম হবেন কেনো? নজরুল, প্রকৃত শিক্ষিত ছিলেন না, ছিলেন প্রথাগত অপসাংস্কৃতিক শিক্ষায় শিক্ষিত; g~L©Zv—hvi অধিক শ্রেয়! কবিকে, প্রথম ভাষা-ব্যাকরণে শিক্ষিত হ’তে হয়, বোধ করি। তাহলে রবীন্দ্রনাথ-কে কী বলবো? নজরুল, অপশিক্ষায় শিক্ষিত হ’তে হতে, কালীকীর্তন করতে করতে, ইসলাম প্রচার করতে করতে এখন রাষ্ট্রধর্মী বাংলাদেশের জাতীয় Kwe—Bmjvwg জাতীয়তাবাদী কবি। তার মতো রবীন্দ্রনাথকেও বিশ্বকবির বদলে ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদী কবি’ বলাই শ্রেয়! যেহেতু, হিন্দু সংস্কৃতির প্রথাগত বিশ্বাস আত্মা, সত্তা, পুথিগত PwiÎvL¨vb—nvweRvwe ঢুকে গেছে (ঢুকিয়ে দিয়েছেন) তার লেখায়। তার পঙ্ক্তিকে ঐন্দ্রজালিক করতে পারার অসাধারণ প্রতিভা ছিলো। দৃষ্টান্তবাদী দৃষ্টিতে শুধু চিত্তাকর্ষক/হর্ষক পঙ্ক্তি-চিত্রকল্পের নোঙর ফেলে পাঠকচিত্ত তৃপ্ত করতে পারলেই তা কবিতা হ’য়ে ওঠে না; এইগুলোর দৃশ্যমান রূপ, কল্পনাসম্ভব অস্তিত্ব থাকতে হবে, কবিতায় উপযুক্ততা পেতে হবে, হ’তে হবে তাৎপর্যপূর্ণ—দৃষ্টান্তযুক্ত[২] ।
আসা যাক রবীন্দ্রনাথ’র কবিতায়। কবিতাকে বিশ্বাসযুক্ত এবং ঐন্দ্রজালিক করা তার প্রিয় বিষয় ছিলো, বোধ করি। তিনি নজরুল’র মতো স্থূলভাবে কিছু প্রকাশ করেন নি। তার ছিলো প্রবল রহস্যীকরণপ্রবণতা, যার মাধ্যমে মিথ্যেকেও আকর্ষণীয় শক্তিশালী শ্রুতিমধুর করে তুলতে পারতেন। তিনি রহস্যীকরণের এক প্রধান ঐন্দ্রজালিক।
‘‘প্রথম দিনের সূর্য
প্রশ্ন করেছিল
সত্তার নূতন Avwef©v‡e—
কে তুমি ?
মেলে নি উত্তর।
বৎসর বৎসর চলে গেল,
দিবসের শেষ সূর্য
শেষ প্রশ্ন উচ্চারিল পশ্চিমসাগরতীরে,
নিস্তব্ধ mܨvq—
কে তুমি ?
পেল না উত্তর।”
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৩ সংখ্যক। শেষ লেখা ; ১৯৪১)
কবিতাটি ঐন্দ্রজালিক, দৃষ্টান্তবাদ-অসমর্থিত। ‘‘প্রথম দিনের m~h©”—g‡b হচ্ছে, সূর্যের জন্মের ‘প্রথম দিনের’ কথা e‡j‡Qb—gv‡b, সূর্যের বয়েস তখন এক দিন! যে, জন্মেই প্রশ্ন করে নূতনাবির্ভূত এক ÔmËvÕ-†K— কে তুমি? —DËi মেলে নি। যেনো, মহাবিশ্ব তৈরি ছিলো; হঠাৎ একদিন সূর্য নামক মহান দার্শনিক জন্মে, জন্মের প্রথম দিনই, ‘সত্তা’ নামক আরেক দার্শনিককে প্রশ্ন K‡i—| তিনি এখানে, সূর্যৎপত্তিসংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক ধারণার বিপক্ষে গেছেন! লিখেছেন, ‘‘দিবসের শেষ সূর্য”। অথচ দিবসের প্রথম/শেষ সূর্য বলে কিছু নেই! ‘সত্তা’ শব্দটিও এখানে ঐন্দ্রজালিক। আমার ধারণা, এখানে ‘সত্তা’ তিনিই। হয়তো, তার পৃথিবীতে আসার প্রথম দিন, তার সূর্য তাকে প্রশ্ন (সূর্য প্রশ্ন করে?) K‡i—‘‘†K তুমি?”; শেষ দিনও একই প্রশ্ন K‡i— তিনি নিরুত্তর। মাঝে সূর্য আরো প্রশ্ন করে বলেও মনে হচ্ছে; উত্তর দেন নি সেগুলোরও। কবিতার মতো নিজেকেও করেছেন রাহস্যিক। এখানে, ‘সত্তার প্রথম দিন’ লিখলে শ্রেয় হতো; ভ্রমসৃষ্টি হতো না, সুন্দর কবিতা হ’য়ে উঠতো এটি। অধিকাংশ পাঠক রবি বাবু’র কবিতায় গভীর ‘দর্শন’ আছে ভাবেন। কবিতায় দার্শনিকতা থাকতে পারে তবে একটি কবিতাকে প্রথমে হ’য়ে উঠতে হয় মোটা দাগে কবিতা এবং ইন্দ্রিয়গুলোকে নাড়া দিতে পারার সক্ষমশিল্প। কবিতা, e¨_©Zv-mvdj¨-Kvgbv-evmbv-Avb‡›`vjvm-hš¿Yv—bvbv যৌক্তিকাবেগ প্রকাশমাধ্যম। রবীন্দ্রনাথ’র লেখায় পাওয়া যায় প্রাচীন ভারতীয়দের দার্শনিক চিন্তার কাব্যরূপ, যেখানে নিজস্ব মৌলিক দর্শন প্রায় অনুপুস্থিত। এখানকার পাঠক তার লেখাকে ধর্মীয় কিতাবের মতো ভাবেন, তবে তিনি না লিখলে বাঙলা সাহিত্যের ক্ষতি হতো। কিন্তু তিনি বিশুদ্ধতার পাশাপাশি রচেছেন অবিশুদ্ধতা। উপরের কবিতাটি তার নির্জীব হবার আগে অপ্রকাশিত ছিলো বলে এর জন্যে তাকে শাসানো না গেলেও কিছু পঙ্ক্তির বেলায় তা পারা hvq—
‘‘জ্বল জ্বল চিতা দ্বিগুণ দ্বিগুণ”
সতীদাহের চিতার আগুনে বিমুগ্ধ হয়ে তরুণ রবি, এই অপপঙ্ক্তি রচেছেন, বোধ করি। এতে প্রমাণিত হয়েছে তার AweP¶YZv—hv সতীদাহের প্রতি উস্কানিমূলক। এখানে হিন্দু সংস্কৃতির মূর্খামিপূর্ণ নোংরা বিশ্বাস জাজ্বল্যমান। এটি দৃষ্টান্তবাদ-সমর্থিত হতো, কিন্তু উদ্দেশ্যের (Purpose) কারণে তা হ’য়ে ওঠে নি; অর্থাৎ এখানে প্রতিটি শব্দ দৃষ্টান্তবাদ-সমর্থিত হলেও এর উদ্দেশ্য বিশ্বসিত। তিনি গোটা গীতাঞ্জলি জুড়েও বিশ্বাস i‡P‡Qb—
# ‘‘বিপদে মোরে রক্ষা করো/ এ নহে মোর প্রার্থনা,/ বিপদে আমি না যেন করি ভয়।” ৪ স্তবক
# ‘‘যদি তোমার দেখা না পাই, প্রভু,/ এবার এ জীবনে” ২৪ স্তবক
# ‘‘প্রভু, তোমা লাগি আঁখি জাগে;/ দেখা না পাই/ পথ চাই,” ২৮ স্তবক
# ‘‘একটি নমস্কারে, প্রভু,/ একটি নমস্কারে/ সকল দেহ লুটিয়ে পড়ুক” ১৪৮ স্তবক
গীতাঞ্জলি (১৯১০); মূলত আধ্যাত্মিকতা আর পরমসত্তার প্রতি সমর্পণ, যেখানে ফুটে ওঠে তার বিশ্বাস যা পেয়েছেন পরিবার নামক কারখানা থেকে এবং এগুলোকে উপনিষদের অনেক সুন্দর মিথ্যেয় অলংকৃত করেছেন। তার লেখায় পাওয়া যায় এক অতীন্দ্রিয় পরমসত্তা, যার স্পর্শ তিনি দেখতে পেতেন প্রাকৃতিক mewKQy‡Z—
‘‘সারা জীবন দিল আলো সূর্য গ্রহ চাঁদ
তোমার আশীর্বাদ, হে প্রভু, তোমার আশীর্বাদ ॥”
....
....